|
| ২০ নভেম্বর: মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে-- ভারতীয় পার্লামেন্টে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ভারত আশা করে জাতিসংঘ মহাসচিব পূর্ববঙ্গে গৃহযুদ্ধের অবসানে আত্মনিয়োগ করবেন। তিনি বলেন, পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সমস্যাকে ধামাচাপা দিয়ে এটিকে একটি পাক-ভারত বিরোধে রূপান্তরিত করলে তা শুধু সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবে। তিনি বলেন, আমি মহাসচিবকে এই নিশ্চয়তা দিতে চাই_পাকিস্তান আক্রমণ করার অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমাদের নেই।
- টেংরাটিলা আক্রমণের আগে সেক্টর কমান্ডার মেজর শওকত তাঁর বাঁশতলা সেক্টর হেডকোয়ার্টারে এক সভা আহ্বান করেন। সভায় টেংরাটিলা আক্রমণের বিষয় নিয়ে মেজর শওকত বিস্তারিত আলোচনা করেন। ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন মহসীন, ক্যাপ্টেন আকবর, ক্যাপ্টেন হেলাল, লে. মাহবুবার রহমান এবং কয়েকজন এফএফ লিডার।
- কালীগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। কালীগঞ্জের ওয়াপদা কলোনিতে পাকিস্তানি সেনাদের একটি কম্পানি অবস্থান করছিল। তাদের সঙ্গে বেশ কিছু রাজাকারও ছিল। এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর তৃতীয় রাজপুত ব্যাটালিয়ন হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মুক্তিবাহিনীকে আর্টিলারি সাপোর্ট দেয়। দুই ঘণ্টা স্থায়ী যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর কোনো ক্ষতি না হলেও ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।
- মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী নৌকুচী থেকে আহমদনগরে যে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল, তা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পাকিস্তানি বাহিনী এখানে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
- মুক্তিবাহিনী কিশোরগঞ্জের গচিহাটায় সদ্য নির্মিত রেলওয়ে ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। এর অব্যবহিত পরেই কিশোরগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে কিশোরগঞ্জ শহর জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে।
|