| ২৭ জুলাই: মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে-- ল্যান্সনায়েক মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নালিতাবাড়ী থানার তন্তর ও মায়াঘাসিতে পাকিস্তানি সৈন্যের একটি টহলদার দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্সনায়েক মেজবাহ উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
- চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি বাহিনীর হিয়াকু ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে চারজন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেরার চেষ্টা চালালে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হতে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসেন।
- কুষ্টিয়ার ইউনাইটেড স্কুলে কুষ্টিয়ার মুজাহিদদের প্রথম দল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়। কুষ্টিয়া জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদ ও আহমদ আলী মুজাহিদদের বাংলা ও উর্দুতে শপথবাক্য পাঠ করান।
- সুনামগঞ্জের বিরামপুরে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে সাতজন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন বীর মুক্তিসেনা নিহত হন।
- ষ সিলেটে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর ছোটলেখা চা-বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সনারাও পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। দুই ঘণ্টা যুদ্ধের পর চারজন পাকিস্তানি সেনা গুরুতর আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন গুরুতর আহত হন।
- মুক্তিবাহিনীর সিলেটের মনুনদী অবস্থানের ওপর পাকিস্তানি হায়েনার দল অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান বাবুল শহীদ হন।
|