| ৬ অক্টোবর: মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে-- মুক্তিবাহিনী রাজশাহী জেলার সীমান্ত গ্রাম ঘোষপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। এ সংঘর্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য হস্তগত করে।
- রাতে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে গেট পাহারারত তিনজন রাজাকার নিহত ও দুজন আহত হয়।
- ৮ নম্বর সেক্টরের বয়রা সাবসেক্টরে মুক্তিবাহিনী পীরগাছায় পাকিস্তানি সেনাদের একটি দলকে অ্যামবুশ করে। এ অ্যামবুশে দুজন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও দুজন রাজাকার আহত হয়।
- ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল গাড়িতে মাল বোঝাইরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর গ্রেনেডের সাহায্যে আক্রমণ করে। এ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনীর তিনজন সেনা নিহত হয়।
- কুমিল্লা রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধারা গোপীনাথপুর, চান্দিনা, শালদানদী ও নয়নপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
- মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি পাকিস্তানকে সব ধরনের সাহায্য দান সম্পর্কিত প্রস্তাব অনুমোদন করে।
- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোজার্স পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলিকে সম্পূর্ণ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি হানাদারদের হাত থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারীদের আবারও হানাদারদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করেন।
- জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে দেখা করে। মন্ত্রী জমিয়ত নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ও দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।
- খান আবদুস সবুর খানের বাসায় কাইয়ুম মুসলিম লীগের কর্মী সমাবেশ হয়। সমাবেশে মুসলিম লীগ (কাইয়ুম) প্রধান কাইয়ুম খান বলেন, 'রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় প্ররোচনায় ইসলামের বদলে ভাষাকেই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি বলে প্রচার শুরু করা হয়। ভাষাভিত্তিক স্লোগানের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের ধ্বংস।'
|