|
| ১৬ ডিসেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে- ঘটনাবলী- ১৮৭৬ সালে বাংলা নাটকের কন্ঠরোধকল্পে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক অভিনয় নিয়ন্ত্রন আইন চালু।
- ১৯০৪ সালে কলকাতার প্রথম দৈনিক সান্ধ্য পত্রিকা ‘সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয়।
- ১৯২০ সালে চীনের কানসুতে ভূমিদসে পৌনে ২ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেন।
- ১৯৩৯ সালে ঢাকা থেকে প্রথম বেতার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
- ১৯৫০ সালে সাইপ্রাসের জনগণ তাদের দেশর ওপর ব্রিটিশ আধিপত্যের পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে।
- ১৯৫৭ সালে ন্যাটো জোটের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
- ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
- ১৯৯১ সালে কাজাকিস্তান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
- ১৯৯৮ সালে ব্রিটেনে বাংলা টিভি চালু করা হয়।
- ১৯৯৮ সালে প্যারিসের একটি আপীল আদালত ফ্রান্সের বিশিষ্ট মুসলিম দার্শনিক, ইতিহাসবিদ ও লেখক রজার গারুদিকে হোলোকাস্টের কথিত গণহত্যার কল্পকাহিনী অস্বীকার করার অপরাধে জেল ও জরিমানা করে।
- ২০০৫ সালে বিশ্বের সর্বপ্রথম এবং সবচয়ে বড় কমিউনিটি বাংলা ব্লগ প্ল্যাটফর্ম সামহোয়্যার ইন ব্লগ যাত্রা শুরু করে।
জন্ম- ১৭৭৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন জেন অস্টেন তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক।
- ১৯০৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, তিনি বাঙালি কবি।
- ১৯১৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন আর্থার সি ক্লার্ক, তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক উ উদ্ভাবক।
- ১৯৩২ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন রডিওন সচেড্রিন, তিনি রাশিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার।
- ১৯৪০ সালে সংগীত শিল্পী মাহমুদুন্নবী জন্ম গ্রহণ করেন।
- ১৯৫২ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন জোয়েল গার্নার, তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
- ১৯৬৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন মিরান্ডার অটো, তিনি অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী।
- ১৯৬৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন অ্যাডাম জি. রেইস, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক।
- ১৯৭৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সয়ল্ভাইন ডিস্টিন, তিনি ফরাসি ফুটবলার।
- ১৯৮৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন থিও জেমস, তিনি ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।
- ১৯৯২ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এনামুল হক বিজয়, তিনি বাংলাদেশী ক্রিকেটার।
মৃত্যু- ১৪৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন আলী কুশিজি, তিনি ছিলেন উজবেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও পদার্থবিদ।
- ১৬৮৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন উইলিয়াম পেটি, তিনি ছিলেন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক।
- ১৭৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন ফ্রাসোয়া কুএস্নায়, তিনি ছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসক ও দার্শনিক।
- ১৮৫৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন ভিলহেল্ম গ্রিম, তিনি ছিলেন জার্মান লেখক।
- ১৯০১ সালে নবাব খাজা আহসান উল্লাহ ইন্তেকাল করেন।
- ১৯৫২ সালে মৃত্যুবরণ করেন রবার্ট হেনরি বেস্ট, তিনি ছিলেন আমেরিকান সাংবাদিক।
- ১৯৬৫ সালে ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার সমাসেট মম মৃত্যুবরণ করেন।
- ১৯৯৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন কাকুয়েই টানাকা, তিনি ছিলেন জাপানি রাজনীতিবিদ ও জাপান ৬৪ তম প্রধানমন্ত্রী।
- ১৯৯৫ সালে কণ্ঠশিল্পী ফিরোজ সাই ইন্তেকাল করেন।
- ২০০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন আলফ্রেড লিঞ্চ, তিনি ছিলেন ইংরেজ অভিনেতা।
- ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন ফিবো কন্টি, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান অভিনেতা।
১৬ ডিসেম্বর: মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে-- পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার লে. জেনারেল নিয়াজির নির্দেশে পাকিস্তানি বাহিনী ভোর ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু করে। বেলা ৯টায় যৌথ বাহিনীর ডিভিশনাল কমান্ডার জেনারেল নাগরার বার্তা নিয়ে মিরপুর ব্রিজের এপার থেকে ওপারে নিয়াজির হেড কোয়ার্টার অভিমুখে সাদা পতাকা উড়িয়ে জিপে করে রওনা হন ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর দুই অফিসার। বার্তায় লেখা ছিল, 'প্রিয় আবদুল্লাহ, আমি এসে পড়েছি। এখন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে। এ আমার উপদেশ।'
- সকাল ৮টায় নিয়াজি আত্মসমর্পণের সর্বশেষ মেয়াদ আরো ছয় ঘণ্টা বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
- বেলা ১টা নাগাদ কলকাতা থেকে ঢাকা এসে পৌঁছান যৌথবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জ্যাকব।
- দুপুর একটার পর জেনারেল হেড কোয়ার্টারে বসে আত্মসমর্পণের দলিল তৈরির বৈঠক। এক পক্ষে নিয়াজি, ফরমান আলী ও জামশেদ। অপর পক্ষে জ্যাকব, নাগরা ও কাদের সিদ্দিকী। সিদ্ধান্ত হয়, দলিলে স্বাক্ষর করবেন বিজয়ী বাহিনীর পক্ষে পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডিং ইন চিফ লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং বিজিত বাহিনীর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি।
- ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই জেনারেল অরোরা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিমান ও নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছান। নিয়াজি অভিবাদনসহ অভ্যর্থনা জানান যৌথবাহিনীর কমান্ডারকে।
- বিকেল পৌনে ৫টায় পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি রেসকোর্স ময়দানে আসেন। সামরিক বিধি অনুসারে বিজয়ী ও বিজিত সৈনিকরা শেষবারের মতো জেনারেল নিয়াজিকে গার্ড অব অনার জানায়।
- বিকেল ৫টায় জেনারেল নিয়াজি ও যৌথবাহিনীর অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ময়দানে রাখা একটি টেবিলের বসেন। জেনারেল অরোরা বসেন টেবিলের ডানদিকের চেয়ারে। বাম পাশে বসেন জেনারেল নিয়াজি। দলিল আগে থেকেই তৈরি করা ছিল। জেনারেল অরোরা স্বাক্ষর করার জন্য দলিল এগিয়ে দেন নিয়াজির দিকে। তখন বিকেল ৫টা ১ মিনিট। নিয়াজি দলিলে স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে।
|